Home » » এসইও শিখুন সহজেই লিংক বিল্ডিং এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বিস্তারিত

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও লিংক বিল্ডিং এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও আপনি যখন  এসইও  শিখা বা করার সাথে জড়িত থাকবেন তখন  লিংক বিল্ডিং  কথাটি আপন...

লিংক বিল্ডিং এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও, এসইও এর  প্রকারভেদ ও কি কি?


ব্ল্যাক হ্যাট এসইও


লিংক বিল্ডিং এবং ব্ল্যাক হ্যাট এসইও

আপনি যখন এসইও শিখা বা করার সাথে জড়িত থাকবেন তখন লিংক বিল্ডিং কথাটি আপনার সামনে যতবার আসবে ঠিক তার একভাগও ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কথাটি আসে না। কারণ সবাই এটিকে এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু যত বড় বড় অনলাইন প্রফেশনালরা আছেন যারা মার্কেটিং এর সাথে জড়িত তাদের বেশির ভাগ মানুষই নিজেদের সাইটের কোয়ালিটি বাড়ানোর জন্য যেমন লিংক বিলদিং করে ঠিক তেমনই আয় বাড়ানোর জন্য ব্ল্যাকহ্যাট এসইও করে থাকে। কিন্তু কোন অনলাইন ট্রেনিং সেন্টার অথবা ভিডিও টিউটোরিয়ালে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর কথা বলা হয় না। আজ আমি চেষ্টা করবো কিছু লিংক বিল্ডিং এবং ব্ল্যাকহ্যাট এসইও এর কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করার। যদিও ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এর অনেক টেকনিক আছে সব বলা সম্ভব নয়, যতটুকু পারি শেয়ার করছি।
• এসই ও কি?
• এসই ও কেন করবেন?
 কিভাবে গুগল তার সার্চ রেজাল্ট দেখায় ?
• রাঙ্কিং ফ্যাক্টর কি?
• অ্যালগোরিদম কি?

ব্লাক হ্যাট এসইও

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও হচ্ছে আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন এর নিয়ম কানন ভঙ্গ করে এসইও করেন তাই হচ্ছে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও ।
হোয়াইট হ্যাট এসইও হচ্ছে আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন এর নিয়ম কানন মেনে আপনার সাইট কে এসইও করেন তাই হচ্ছে হোয়াইট হ্যাট এসইও।
গ্রে হ্যাট এসইও হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন এর কিছু নিয়ম কানন এর ফাক ফোঁকর আপনি খুঁজে বের করে ইউস করেন তাই হল গ্রে হ্যাট এসইও ব্ল্যাক হ্যাট এসইও যে ভাবে করা হয় তার মধ্যে আছে কীওয়ার্ড স্টাফিং, ক্লকিং, ডোরওয়ে পেজেস, অদৃশ্য টেক্সট, স্প্যামিং ব্যাকলিংক ইত্যাদি পদ্ধতি। এধরণের এসইও আনইথিক্যাল এসইও নামেও পরিচিত। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও করার সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হলো আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিন এর তালিকা থেকে বাতিল হয়ে যেতে পারে। সুতরাং সবসময় এটি এড়িয়ে চলুন এবং এসইওর নিয়ম কানুন মেনে এসইও করুন।

ক্লকিং

ক্লকিং হলো এমন একটা টেকনিক বা পদ্ধতি যেটা সার্চ ইন্জিনকে এক ধরনের কনটেন্ট দেখাবে আর ইউজারকে অন্যরকম কনটেন্ট দেখায়। এখন আপনাদের যে বিষয়টি ক্লিয়ার করব তা হলো সার্চ ইঞ্জিনের কাজ করে মানুষ এবং তার সাথে সার্চ ইন্জিনের বট/ক্রাউলার/স্পাইডার/স্কুটার । ক্লকিং পদ্ধতিটিতে যখন সার্চ ইঞ্জিনের সার্ভারে কোন পেজের জন্য রিকোয়েস্ট যায় তখন এই টেকনিকের সাহায্যে আইপি এড্রেস বা ইউজার এজেন্ট দেখে বোঝা যায় যে এটা কোন সার্চ ইন্জিনের বট/ক্রাউলার/স্পাইডার/স্কুটার নাকি মানুষ। যখন দেখে স্পাইডার তখন এক ধরনের পেজ দেখায় আর মানুষ হলে আরেক ধরনের পেজ। এইটা ব্ল্যাক হ্যাট এসইও

অদৃশ্য টেক্সক্ট

এটিও হলো এক ধরণের কীওয়ার্ড স্টাফিং। ধরুন আপনি আপনার ওয়েবের ব্যাকগ্রাউন্ড কালারের সাথে ম্যাচ করে কীওয়ার্ড এর মাত্রাধিক ব্যবহার করেছেন। এদিকে টেক্সট কালার আর ব্যাকগ্রাউন্ড কালার একি হওয়ায় তা ভিজিটর দেখতে পাচ্ছে না ঠিকই কিন্তু সার্চ ইঞ্জিনকে তা পড়তে হচ্ছে । এটি কখনোই করবেন না। এটি ব্ল্যাক এসইওর অন্তর্ভূক্ত।

লিংক ফার্ম

আপনি ১২ টি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন এবং ব্যাকলিংক বৃদ্ধির জন্য একটি ওয়েবসাইটের লিংক অপর ওয়েবসাইটে দিলেন। এভাবে সব কয়টি ওয়েবসাইটের ব্যাকলিংক বৃদ্ধি করতে চাইলেন। আর এ কাজটিই হলো লিংকফার্ম। সার্চ ইঞ্জিনের কাছে এধরণের কাজ স্প্যাম হিসেবে পরিগণিত। কাজেই আপনি যখন সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ধরা খাবেন তখনি আপনার সাইটকে তারা তাদের লিস্ট থেকে বাদ দিয়ে দেবে।

ডোরওয়ে পেজ

আপনি নিজেতো কাজের কাজ কিছু করতে পারলেন না অথচ তবুও সার্চ রেজাল্টের প্রথমে আসার লোভ থামাতে পারছেন না। আর এই জন্য আপনি কীওয়ার্ড নির্বাচন করে কীওয়ার্ডের ঝরণা ঝরিয়ে আপনার ব্লগে একটি আর্টিক্যাল লিখলেন । অথচ আপনি আর্টিক্যালটি পড়তে অন্যকোন ওয়েবসাইটের ইউআরএল বসিয়ে দিলেন। যার ফলে ভিজিটর সার্চ দিয়ে আপনার সাইটে প্রবেশ করলেও তাকে তথ্যটি দিতে আপনিই অন্য কোন ওয়েবসাইটে রিডাইরেক্ট করাচ্ছেন। এটিই হলো ডোরওয়ে পেজ। এটি ব্ল্যাক এসইওর অন্তর্ভূক্ত। কাজেই এ বিষয়টি কখনো করবেন না। দুর্বল হলেও নিজে আর্টিক্যাল লিখে তা প্রকাশ করুন।

হোয়াইট হ্যাট এসইও


মূলত ব্যাকলিংক , কিওয়ার্ড গবেষনা , লিংক পপুলারিটি, লিংক বিল্ডিং ইত্যাদি হলো হোয়াইট হ্যাট এসইও।হোয়াইট হ্যাট এসইও কে ইথিক্যাল এসইও বলা যায়।


আউটবাউন্ড লিংক

আউটবাউন্ড লিংক ব্যাকলিংকের সম্পূর্ণ বিপরীত। অর্থ্যাৎ অন্য কোন সাইটের লিংক যদি আপনার সাইটে থাকে তা হবে আউটবাউন্ড লিংক। আউটবাউন্ড লিংক কে আউটগোয়িং লিংকও বলে।এটিও হোয়াইট হ্যাট এসইও ।

লিংক পপুলারিটি

সাইটের স্থান সার্চ রেজাল্টের কততম পেজে থাকবে তা নির্ধারণ করা হয় লিংক পপুলারিটির সাহায্যে। মূলত আপনার ব্যাকলিংকের সংখ্যার উপর

ব্যাক লিংক

ব্লগ কমেন্ট, ফোরাম পোস্টিং ইত্যাদির মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট ইউআরএলটি আপনি অন্যান্য ওয়েবসাইটে দিয়ে দেবেন। যাতে করে অন্যান্য ওয়েবসাইটে আপনার ওয়েবসাইটের ইউআরএলটি থাকবে।এবং এত করে যে লিংকটি ‍দিলেন সেটিই হলো আপনার ব্যাকলিংক। আপনি হোম পেজ বা অন্য যে কোন পেজের লিংক দিতে পারেন। ব্যাক লিংককে ইনকামিং লিংক বা ইনবাউন্ড লিংকও বলে। 

ইন্টারনাল লিংক

আপনার একটি পোস্টের ভেতর অন্যান্য পোস্টের লিংক দিয়ে দেয়াই হলো ইন্টারনাল লিংক। যেমন ধরুন আমি এখন লিখলাম “ইন্টারনাল লিংক ব্লাক হ্যাট এসইও নয় ” বরং এটি হোয়াইট এসইও। ব্লাক এসইও কথাটির মাধ্যমে আমি আমার পূর্বোক্ত ব্লাক হ্যাট এসইও বিষয়ক পোস্টের লিংক দিয়ে দিলাম। এভাবে ইন্টারনাল লিংক তৈরি হবে। ইন্টারনার লিংক এসইওর জন্য খুবই উপকারী। এতে করে পেজ র‌্যাংকও বাড়ে।
অফপেইজ অপটিমাইজেশন:
অফপেইজ অপটিমাইজেশন আসলে নিজের ওয়েবসাইট এর প্রচারের জন্য যা যা করা দরকার তাই হচ্ছে অফপেইজ। অন্য ভাবে বলতে গেলে, অন্যের ওয়েবসাইট এ নিজের ওয়েবসাইট লিংক বা ইউআরএল শেয়ারিং এর মাধ্যমে  যে প্রচারণা চালানো হয় ভিসিটর/ক্লিক আনার মাধ্যমে ও আপনার ওয়েবসাইট এর পরিচিতির জন্য তাই হচ্ছে অফপেইজ অপটিমাইজেশন।

অনপেইজ অপটিমাইজেশন:
একটি সাইট করার পর কিছু টেকনিক্যাল কাজ থাকে যার মাধ্যমে ওই সাইটটিকে সার্চ ইঞ্জিন এ সহজে খুঁজে পাওয়া যায়। অন-পেজ অপ্টিমাইজ করাটা একটা সাইট এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এইটি ঠিক থাকে না হলে পুরো সাইটটি সার্চ রেজাল্ট থেকে হারিয়ে যেতে পারে।

0 Comments:

Post a Comment